মি. আসিফ সালেহ ব্র্যাক ব্যাংক দ্বারা মনোনীত বিকাশ লিমিটেড-এর একজন ডিরেক্টর। তিনি ব্র্যাক বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। সরকারি, বেসরকারি এবং নন গভর্নমেন্ট সেক্টরে সিনিয়র নেতৃত্বের ভূমিকায় তিনি এক বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। ব্র্যাক এবং ব্র্যাক-এর বাইরে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামিং-এর ইন্টারফেস, অপারেশনাল এবং ফাইন্যান্সিয়াল সাস্টেইন্যাবিলিটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় তার পারদর্শিতার পরিচয় দিতে পেরেছেন।
মি. সালেহ ব্র্যাকের কৌশলগত দিকনির্দেশনা পরিচালনায় বিশেষভাবে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১১ সালে যোগদানের পর থেকে তিনি সামাজিক পরিবর্তন, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং সামাজিক উদ্ভাবনের জন্য যুগোপযোগী পরামর্শ প্রদানে পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নগর দারিদ্র্য, যুবদক্ষতা উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ক্ষেত্রে উদীয়মান উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের উপর ব্র্যাকের গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম ক্লাস্টারের সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে, তিনি ব্র্যাকের নতুন প্রোগ্রামেটিক এরিয়া, যেমন, নগর উন্নয়ন কর্মসূচি, মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা পরিষেবা, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং অভিবাসন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। ২০১৬ সালে ব্র্যাকের পাঁচ বছরের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং-এ নেতৃত্ব দেন।
ব্র্যাকে যোগদানের আগে, মি. সালেহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দ্বারা পরিচালিত এক্সেস টু ইনফরমেশন (এ২আই) প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের অংশ হিসেবে, তিনি সারা বাংলাদেনশে সাশ্রয়ী মূল্যের ব্রডব্যান্ড সংযোগ সম্প্রসারণের নীতিমালা প্রয়োগে নেতৃত্ব দেন এবং সরকারের এম-গভর্নেন্স কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। তিনি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার টিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন যারা বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিল। এর পরবর্তীতে, তিনি উন্নয়ন খাতে প্রযুক্তি এবং সাশ্রয়ী উদ্ভাবনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে কাজ করেছেন। তিনি ১২ বছর ধরে গোল্ডম্যান শ্যাসে-এর নিউইয়র্ক এবং লন্ডনের ফিনটেকের বিভিন্ন ভূমিকায় এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লায়েন্ট সেলসে কর্মরত ছিলেন, সেখানকার কর্মজীবনে শেষ সময় পর্যন্ত তিনি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি গ্লাক্সো ওয়েলকাম, আইবিএম এবং নর্টেলেও কর্মরত ছিলেন।
মি. সালেহ দৃষ্টিপাত-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশিদের মানবিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি স্বনামধন্য সংস্থা। তিনি ২০০৭ সালে বাংলাদেশি অ্যামেরিকান ফাউন্ডেশন, ২০০৮ সালে এশিয়া সোসাইটি’র এশিয়া ২১ প্রোগ্রাম দ্বারা তার কাজের জন্য স্বীকৃত হন এবং ২০১২ সালে এশিয়া ২১-এ ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক একজন ইয়াং গ্লোবাল লিডার হিসেবে নির্বাচিত হন।
মি. সালেহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং অ্যালায়েন্সে একজন সক্রিয় সদস্য, যেখানে তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ভূমিকা রাখেন। তিনি ওয়াশিংটন, ডি.সি.’র সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের একজন নন-রেসিডেন্ট ফেলো। তিনি মিলিয়নস লার্নিং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ, ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের একজন সদস্য, যা সর্বস্তরের শিশু এবং তরুণদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার মাপকাঠি বিষয়ক সমস্যা সমাধান করে। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা-ভিত্তিক ইনোভেশন এজ-এর একজন সদস্য, যা আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্টের একটি প্রচারক সংস্থা।
মি. সালেহ ব্র্যাক আইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্র্যাক নেট-এর সহ-সভাপতি এবং ব্র্যাক ব্যাংক এবং ইডোটকো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর বোর্ড সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং মায়া সহ একাধিক অলাভজনক সংস্থাতেও বোর্ড সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
মি. সালেহ নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেস থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি এবং ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং-এ এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।